আজ ২রা এপ্রিল রবিবার সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের সাথে যেকোন ধরনের সামরিক চুক্তি বা সমঝোতা না করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়াকে ঘরে বসে সাংবাদিক সম্মেলন না করে ভারতের সাথে সামরিক চুক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হবে এমন কোন চুক্তি প্রতিরোধে দেশের সকল রাজনেতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,
চীনের সাথে বাজার দখলের লড়াইয়ে মার্কিন ও ভারত হেরে গিয়ে যুদ্ধ বাধানোর যে
নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে তাতে তারা বাংলাদেশকে সাথে রাখতে চায়।
বাংলাদেশের জন্য তা হবে আত্মঘাতি এবং পারমানবিক যুদ্ধের হুমকিতে পড়বে দেশ ও
জাতি। বিনা কারণে পারমানবিক যুদ্ধের হুমকিতে জাতিকে ফেলার ভারতীয়
চক্রান্তের অংশই হচ্ছে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি। এই চুক্তি হলে সিকিমের মত
বাংলাদেশেও একসময় ভারতের কাছে তার স্বাধীনতা হারাবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশীদ খান বলেন, ভারত আমাদের স্বার্থে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কোন সহযোগিতা করেনি। বরং তার প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে বিভক্ত করার জন্যই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম। তিনি বলেন, জনগণ কোন ধরনের সামরিক চুক্তি ও ভারত থেকে অস্ত্র ক্রয় মেনে নেবে না। যেকোন ধরনের অস্ত্র ক্রয় ও সামরিক চুক্তি কিংবা সমঝোতা জনগণ প্রত্যাখান করবে। আর এই সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করার দায় স্বাক্ষরকারীরা বঙ্গোপসাগরে নিক্ষিপ্ত হবে।
প্রতিবাদী তারুণ্যের ঢাকা মহানগর নেতা মাকসুদ আলম চৌধুরী বলেন, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে আমরা জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিরোধ করবো।
Post a Comment